মোরশেদুল ইসলাম। ছবি-ইত্তেফাক
নন্দীগ্রামে চালের বয়াম ভাঙ্গার কারেণ মায়ের নির্দেশে স্ত্রীকে (২২) ন্যাড়া করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামী মোরশেদুল ইসলামের (৩২) বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ইউসুবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকালে মোরশেদুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ। মোরশেদুল ইউসুবপুর গ্রামে মোশারফ হোসেনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে মোরশেদুলের স্ত্রী হাত থেকে চাল রাখার বয়াম পরে ভেঙ্গে যায়। এতে তার শাশুড়ি ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে গালাগালি করতে থাকে। সন্ধ্যায় মোরশেদুল বাড়ী ফিরে এলে তার মা তাকে বিষয়টি জানালে সে ক্ষিপ্ত হয়ে দোকান থেকে ব্লেড এনে তার স্ত্রীকে ন্যাড়া করে দেয়।
বিয়ের পর থেকেই মোরশেদুল তার স্ত্রীকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করতো। যার কারেণ প্রায় প্রতিদিন ওই বাড়িতে হৈচৈ লেগেই থাকতো। এ নিয়ে গ্রামের গণ্যমান্যরা বেশ কয়েক বার সালিশও করেছে। তার পরেও থেমে থাকেনি নির্যাতন।
নির্যাতিতার মা মনজু আরা জানান, খবর পেয়ে মেয়ের বাড়িতে আসি। এসে দেখি আমার মেয়ে ন্যাড়া আবস্থায় বসে আছে। আমার মেয়ে আহাজারি করে আমাকে জানায়, চালের বয়াম ভাঙ্গার কারণে তার শাশুড়ির নির্দেশে তার স্বামী তাকে ন্যাড়া করে দিয়েছে। তার শাশুড়ি হাসুয়া নিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে তার স্বামী মোরশেদুলকে দিয়ে আমার মেয়ের মাথা ন্যাড়া করে নেয়। তিনি আরও জানান, ১০ মাস আগে মোরশেদুলের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই জামাই যৌতুকের জন্য আমার মেয়েকে নির্যাতন করতো। জামাইকে ফোন দিলে সে বলতো আমার সঙ্গে কথা বললে প্রতি কথায় ১০ হাজার টাকা দিতে হবে।
মোরশেদুল এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার স্ত্রী যেন কোথাও যেতে না পারে এবং আমার বাধ্য থাকে এ কারণেই তাকে ন্যাড়া করে দিয়েছি।
এবিষয়ে নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শওকত কবির জানান, মোরশেদুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
Source Link
নন্দীগ্রামে চালের বয়াম ভাঙ্গার কারেণ মায়ের নির্দেশে স্ত্রীকে (২২) ন্যাড়া করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামী মোরশেদুল ইসলামের (৩২) বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ইউসুবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকালে মোরশেদুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ। মোরশেদুল ইউসুবপুর গ্রামে মোশারফ হোসেনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে মোরশেদুলের স্ত্রী হাত থেকে চাল রাখার বয়াম পরে ভেঙ্গে যায়। এতে তার শাশুড়ি ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে গালাগালি করতে থাকে। সন্ধ্যায় মোরশেদুল বাড়ী ফিরে এলে তার মা তাকে বিষয়টি জানালে সে ক্ষিপ্ত হয়ে দোকান থেকে ব্লেড এনে তার স্ত্রীকে ন্যাড়া করে দেয়।
বিয়ের পর থেকেই মোরশেদুল তার স্ত্রীকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করতো। যার কারেণ প্রায় প্রতিদিন ওই বাড়িতে হৈচৈ লেগেই থাকতো। এ নিয়ে গ্রামের গণ্যমান্যরা বেশ কয়েক বার সালিশও করেছে। তার পরেও থেমে থাকেনি নির্যাতন।
নির্যাতিতার মা মনজু আরা জানান, খবর পেয়ে মেয়ের বাড়িতে আসি। এসে দেখি আমার মেয়ে ন্যাড়া আবস্থায় বসে আছে। আমার মেয়ে আহাজারি করে আমাকে জানায়, চালের বয়াম ভাঙ্গার কারণে তার শাশুড়ির নির্দেশে তার স্বামী তাকে ন্যাড়া করে দিয়েছে। তার শাশুড়ি হাসুয়া নিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে তার স্বামী মোরশেদুলকে দিয়ে আমার মেয়ের মাথা ন্যাড়া করে নেয়। তিনি আরও জানান, ১০ মাস আগে মোরশেদুলের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই জামাই যৌতুকের জন্য আমার মেয়েকে নির্যাতন করতো। জামাইকে ফোন দিলে সে বলতো আমার সঙ্গে কথা বললে প্রতি কথায় ১০ হাজার টাকা দিতে হবে।
মোরশেদুল এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার স্ত্রী যেন কোথাও যেতে না পারে এবং আমার বাধ্য থাকে এ কারণেই তাকে ন্যাড়া করে দিয়েছি।
এবিষয়ে নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শওকত কবির জানান, মোরশেদুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
Source Link
No comments:
Post a Comment